জলপাইগুড়ি ঃ- 'মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল আমি নির্দোষ। আইনের প্রতি ভরসা ছিল। যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে খুশিয'। জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে বুধবার ছাড়া পেয়ে একথা জানালেন শহরের থানা মোড়ের পানশালা মালিক ধরম পাসোয়ান। মঙ্গলবার বিকেলে জলপাইগুড়ি জেলা দায়রা আদালতে সি জি এম কোর্টে বিচারক ধরমকে জামিন দেয়। আইনি কিছু প্রক্রিয়া মেনে এদিন সকালে ধরমকে সংশোধনাগার থেকে ছাড়া হয়। ধরম গ্রেফতারের পরে ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ চার্জশিট জমা করতে পারেনি। এই কারণে এদিন ধরমকে জামিন দিয়েছে আদালত।।
এদিন সকালের ধরমের আইনজীবী ও অনুগামীরা সংশোধনাগারে ভিড় জমায়। এরপর ধরমকে ছাড়া হয়। উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই শহরের থানা মোড়ে ধরমের পানশালা অভিযোগ চালায় পুলিশ৷ ওই পানশালার এক গায়িকার অভিযোগ করেন পানশালার আড়ালে যৌন ব্যবসা চালানো হয়। এরপর পুলিশ তদন্তে নেমে মানব পাচারের মত গুরুতর মামলা দায়ের করেন ধরম পাসোয়ানের রিরুদ্ধে৷ অভিযানের দিন গ্রেফতার হয় পানশালার কর্মী সহ বেশ কয়েকজন মিউজিশিয়ানস। মোট ২৮ জন গ্রেফতার হয়৷ অবশেষে ধাপে ধাপে সকলেই জামিনে ছাড়া পায়। এদিকে পুলিশের দাবি, পানশালা কাণ্ডে একটি মামলা জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে ডিভিশন বেঞ্চে রয়েছে। সেখানে বার বার চার্জশিট জমা করানোর জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু চার্জশিট জমা করার কোন উত্তর না পাওয়াতে চার্জশিট জমা করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের দাবি, পানশালা কাণ্ডে চার্জশিট তৈরি রয়েছে।
ধরমের পক্ষে আইনজীবী অভিজিৎ সরকার বলেন, মানব পাচার একাধিক অভিযোগ করা হয়েছিল ধরমের বিরুদ্ধে। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। পুলিশ ৯০ দিনেও চার্জশিট জমা দিতে পারেনি। আইন অনুযায়ী ধরমকে জামিন দিয়েছে আদালত।
0 মন্তব্য(গুলি):
Please do not enter any spam link in the comment box