নিজস্ব সংবাদদাতা,জলপাইগুড়ি :জলের অপর নাম ‘জীবণ’। দৈনন্দিন জীবণে জলের অপরিসীম গুরুত্বের কথা সামনে রেখে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জল সংরক্ষণের সামাজিক প্রয়োজনীয়তার বার্তা ছড়িয়ে দিতে অরবিন্দ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পালিত হচ্ছে “রাষ্ট্রীয় আবিষ্কার সপ্তাহ 2019”।
নতুন দিল্লী স্থিত ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ & ট্রেনিং (N.C.E.R.T.)-এর অন্তর্গত ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেসন ইন সায়েন্স & ম্যাথেমেটিক্স-এর পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় আবিষ্কার অভিযান-এর অঙ্গ হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সমগ্র শিক্ষা মিশন-এর নেতৃত্বে জলপাইগুড়ি জেলার 23টি স্কুলে 2nd ডিসেম্বর থেকে 7th ডিসেম্বর 2019 পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় আবিষ্কার সপ্তাহ পালন কর্মসূচী চলছে। 2019 সালের রাষ্ট্রীয় আবিষ্কার সপ্তাহ কর্মসূচীর মূল ‘থিম’ হল –“জল সংরক্ষণ ও জলের মানের মূল্যায়ন” “Water Conservation and Water Quality Assessment”।
হাতে-কলমে নানান প্রকার বিজ্ঞান বিষয়ক পরীক্ষানিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞান মনস্কতা ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির উপর আরোপ করেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকশিক্ষিকাদের তত্ত্বাবধানে ছাত্রছাত্রীরা জলের খরতা, pH মাত্রা ইত্যাদি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিদ্যালয় ও আশপাশের অঞ্চলের বিভিন্ন উত্সছ থেকে সংগৃহীত জলের নমুনার গূনগত মান পরীক্ষা করে। এমনকি, জলপাইগুড়ি শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা করলা নদীর জলের নমুনাও আজকে অরবিন্দ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা করে দেখে।
অরবিন্দ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক শ্রী ক্ষৌণীশ গুহ আশা প্রকাশ করে বলেন যে, আজকের দিনের ছাত্রছাত্রীরা আগামী দিনের দায়িত্ববান সুনাগরিক হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এই রাষ্ট্রীয় আবিষ্কার সপ্তাহ পালন কর্মসূচী। সমগ্র পৃথিবী জুড়ে যে জল সংকট তৈরী হয়েছে, সেই প্রেক্ষিতে খুবই প্রাসঙ্গিক এই কর্মসূচী। সমাজের বৃহত্তর অংশে জলের অপব্যবহার ও জল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার বার্তা ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরবে বলে তিনি জানান।
0 মন্তব্য(গুলি):
Please do not enter any spam link in the comment box