সংবাদাতা পিনাকী শীল ,জলপাইগুড়ি: বাৎসরিক পুজা একেই বলে " রাখে হরি মারে কে ' ছোট বেলায় বাবা মা কে হাড়িয়ে নিজে কোথায় খাবে আর কোথায় থাকবে তা নিয়ে চিন্তা ছিল প্রতিদিনের। জানা গেছে এই আরতি দেবী থাকার জন্য মানুষের বাড়িতে কাজ করতেন। সেই সুভাদে নিজের পায়ে দাডানোর নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রুপচর্চার কাজ শিখতেন তাও আবার অন্যের ভাড়া বাড়িতে থেকে। জানা গেছে আরতি দেবি যে সময় ভাঙ্গা টিনের চালায় থাকতেন সেই সময়ে ঝড়ের ভয়ে কাশি বিশ্বনাথের ছবি বুকে আঁকড়ে রেখে নিদ্রা যাপন করতেন আর শুধুই ঠাকুরের নাম জপ করতেন এভাবেই অনেকদিন কেটে ছিল তার। একদিন ঠাকুর তাকে স্বপ্নাদেশ দেয় তাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তারপর আরতিদেবীর সাধ্য অনুযায়ী সেই প্রতিচ্ছবিতে পুজো করে আসছেন । তারপর আরতিদেবী বিবাহ জীবনে আবদ্ধ হন । তারপর সংসার জীবনে টিনের এক চিলতে ভিটিতে প্রথমে কাশী বিস্বনাথ তার পর একের পর এক মা মনষা, লক্ষীনারায়ন রাধাকৃষ্ণ ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর জয় হনুমান বিষ্ণু চামুণ্ডা কালী গোপাল তারা মা শিব লিঙ্গ মুর্ত্তি সহ একাধিক মুর্ত্তি স্থাপন করেন। এখন সেই টিনের চালা পাকা মন্দিরে পরিনত হয়েছে।যা এখন জলপাইগুড়ির ডাঙ্গাপাড়া দাস বাড়ির শিব তারা মন্দির। মন্দিরে প্রতি অমবশ্যা - পুর্নিমাতে ভোগ নিবেদন করা হয়। এ ছাড়াও ২৬ শে নভেম্ব্ব্রর রাতে বাৎসরিক পুজা উৎসব । অত্যন্ত নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে মন্দিরে পুরোহিত দিয়ে পুজা করা হয়। এদিন ভোগ হিসেবে খিচুড়ি, লাবরা, পাচ রকম ভাজ, চাটনি মিষ্টি পায়েশ সহ ফলমুল নিবেদন করা হয়। এলাকার মানুষের পাশা পাশি দুর দুরান্ত থেকে ভক্তরা পুজা দিতে আসেন। এদিন এই মন্দিরে অন্যান্য ভক্তদেরর পাশা পাশি ঠাকুর দর্শন করেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দুলাল দেব নাথ, পুরসভা চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সন্দিপ মাহাত, পঞ্চহায়েত শংকর সরকার, সনাজসেবী স্বপন সরকার সহ অন্যান্য রা। স্থানীয় বক্ত বৃন্দ ছড়াও দুরদুরান্ত থেক্র ভিড় জমে মন্দির প্রাংগনে। পুজা শেষে প্রসাদ বিতরন করা হয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
Please do not enter any spam link in the comment box